কমলপুরে আজ সকালটা অনেক তাড়াতাড়ি হয়েছে। এমনি কেউ এই গ্রামের খোঁজ রাখে না। কিন্তু আজ সকাল সকাল একে একে টি ভি চ্যানেল আর পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকরা এসে হাজির হয়েছে। এই গ্রামের ছেলে সুদেব পরশু কাশ্মীরে শহীদ হয়েছে।
ভারতীয় সেনায় সবে দু' বছর হল যোগদান করেছে সুদেব। এর মধ্যে একবারই বাড়ি এসেছিল। কাশ্মীরের অনেক গল্প করেছিল গ্রামের সকলের কাছে। ছোট থেকে খেলাধূলায় ভালো সুদেব সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে যাওয়ায় গ্রামের লোকে খুব একটা অবাক হয়নি। তবে হ্যাঁ, এই প্রথম গ্রামের কেউ সৈনিক হল, তাই সুদেবকে সবাই আলাদা চোখে দেখত। গ্রামের ছোটদের কাছে সুদেবদা তো হিরো। সারাদিন শুধু সুদেবকের ধরে গল্প শোনাই নয়, সময়ে সময়ে তাকে দেখে কচিকাচার দল স্যালুট ও ঠুকত।
খবরটা পাওয়ার পর থেকে সুদেবের মা শুধু কেঁদেই গেছেন। এখনো কান্না থামেনি। কাল সারারাত গ্রামের কেউই প্রায় ঘুমোতে পারেনি। কেউ কেউ নিজের কান্নায়, আর কেউ কেউ সুদেবের মায়ের কান্নায়।
কর্নেল মুখার্জীর তত্ত্বাবধানে ট্রাকে করে সুদেবের শব এল গ্রামে। মিডিয়ার ভিড় উপেক্ষা করে কফিন আনা হল সুদেবের মায়ের কাছে। তেরঙ্গায় মোড়া সুদেবের দেহ দেখে যেন তার মায়ের কান্না থেমে গেল। হাঁ করে চেয়ে রইলেন সুদেবের মুখের দিকে।
গান স্যালুট হওয়ার পর কর্নেল মুখার্জী এবার নিজে এগোলেন সুদেবের মায়ের দিকে। চারিদিকে ক্যামেরাম্যান গিজ গিজ করছে। তার মধ্যেই আসতে করে গিয়ে বললেন
"আপনার ছেলে দেশের জন্য যে বলিদান দিয়েছে, তা কোনদিন দেশবাসী ভুলবে না। আপনি..."
লাল চোখে কর্নেলের দিকে তাকালেন সুদেবের মা। এক ঝটকায় সুদেবের দেহের থেকে তেরঙ্গা তুলে দিয়ে রেগে বললেন --
"দূর হ। ঝাঁটা মারি তোর দেশের মুখে। আমার ছেলেটাকে ফিরিয়ে দে।"
ভারতীয় সেনায় সবে দু' বছর হল যোগদান করেছে সুদেব। এর মধ্যে একবারই বাড়ি এসেছিল। কাশ্মীরের অনেক গল্প করেছিল গ্রামের সকলের কাছে। ছোট থেকে খেলাধূলায় ভালো সুদেব সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে যাওয়ায় গ্রামের লোকে খুব একটা অবাক হয়নি। তবে হ্যাঁ, এই প্রথম গ্রামের কেউ সৈনিক হল, তাই সুদেবকে সবাই আলাদা চোখে দেখত। গ্রামের ছোটদের কাছে সুদেবদা তো হিরো। সারাদিন শুধু সুদেবকের ধরে গল্প শোনাই নয়, সময়ে সময়ে তাকে দেখে কচিকাচার দল স্যালুট ও ঠুকত।
খবরটা পাওয়ার পর থেকে সুদেবের মা শুধু কেঁদেই গেছেন। এখনো কান্না থামেনি। কাল সারারাত গ্রামের কেউই প্রায় ঘুমোতে পারেনি। কেউ কেউ নিজের কান্নায়, আর কেউ কেউ সুদেবের মায়ের কান্নায়।
কর্নেল মুখার্জীর তত্ত্বাবধানে ট্রাকে করে সুদেবের শব এল গ্রামে। মিডিয়ার ভিড় উপেক্ষা করে কফিন আনা হল সুদেবের মায়ের কাছে। তেরঙ্গায় মোড়া সুদেবের দেহ দেখে যেন তার মায়ের কান্না থেমে গেল। হাঁ করে চেয়ে রইলেন সুদেবের মুখের দিকে।
গান স্যালুট হওয়ার পর কর্নেল মুখার্জী এবার নিজে এগোলেন সুদেবের মায়ের দিকে। চারিদিকে ক্যামেরাম্যান গিজ গিজ করছে। তার মধ্যেই আসতে করে গিয়ে বললেন
"আপনার ছেলে দেশের জন্য যে বলিদান দিয়েছে, তা কোনদিন দেশবাসী ভুলবে না। আপনি..."
লাল চোখে কর্নেলের দিকে তাকালেন সুদেবের মা। এক ঝটকায় সুদেবের দেহের থেকে তেরঙ্গা তুলে দিয়ে রেগে বললেন --
"দূর হ। ঝাঁটা মারি তোর দেশের মুখে। আমার ছেলেটাকে ফিরিয়ে দে।"