Friday, January 29, 2016

জাফর পানাহীকে

প্রাপক:
শ্রী জাফর পানাহী,
তেহরান, ইরান।

প্রিয় জাফরবাবু,

সালাম।
প্রথমেই বলি আমি কোন সিনেমার ছাত্র নই, কোন পেশাদারী চলচ্চিত্র সমলোচক বা সাংবাদিক ও নই। আমি নিতান্ত এক ছাপোষা চলচ্চিত্র প্রেমী। আপনার সিনেমার সঙ্গে প্রথম পরিচয় বছর ৫-৬ আগে। তখন আমি সবে পারস্য সিনেমা দেখা শুরু করেছি। মাজিদ মাজিদির "বাচ্চা-এ-আসমান" বা "রঙ্গ-এ-খোদা" দেখা শেষ হয়েছে। এক বন্ধুর কাছে শুনলাম আপনার সিনেমা "অফসাইড" এর নাম। ফুটবল নিয়ে সিনেমা। ইরানে নাকি মেয়েদের ফুটবল মাঠে খেলা দেখতে যাওয়া বারণ। ইরান-বাহরিন এর ফুটবল খেলায় কিছু মেয়ে খেলা দেখতে যায় ছেলে সেজে, এবং ধরা পরে, তাদের নিয়েই সিনেমা। দেখলাম সে সিনেমা। মন ছুঁয়ে গেল। তারপর একে একে দেখলাম "ওয়াইট বেলুন", "আয়না", "ক্রিমসন গোল্ড"। প্রতিটি সিনেমাই মুগ্ধ করে। একদিন শুনলাম আপনাকে নাকি ইরান সরকার আর সিনেমা করতে বারণ করেছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আপনার ওপর। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। তারপর বহুদিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে পারস্য দেশের অন্যান্য সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সমীরা মখমল্বাফের "আপেল" দেখে অবাক হয়ে ভেবেছি, একটি উনিশ বছরের মেয়ে কি করে এর'ম সিনেমা বানায়!! কিওরাস্তামির "উইন্ড উইল ক্যারি আস", মোহসেন মখমল্বাফের "কান্দাহার" দেখে বার বার ভেবেছি ইরানের মত একটা রক্ষণশীল সমাজে যদি এই সিনেমা তৈরী হয়, আমরা কেন পারি না?
  শুনেছিলাম নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও নাকি আপনি আরও দু খানা সিনেমা বানিয়েছেন। দেখা হয়নি একটাও। কাল রাত্রে আপনার সাম্প্রতিকতম ছবি "ট্যাক্সি" দেখলাম। সেই কারণেই এই চিঠি। শুনেছি আপনার বাকি দুই সিনেমা নাকি গৃহবন্দি অবস্থায়, এই প্রথম নাকি আপনি বহিরদৃশ্য করলেন। সিনেমা দেখতে দেখতে যেন অনুভব করছিলাম কতটা কষ্ট, কতটা বেদনা দিয়েছে আপনাকে এই নিষেধাজ্ঞা। ছত্রে ছত্রে আপনি তার প্রমাণ দিয়ে গেছেন। এই সিনেমায় আপনি এক ট্যাক্সিচালক। ট্যাক্সির সহযাত্রীদের কথায় বার বার প্রকাশ পায় ইরানের সরকারের প্রতি আপনার তীব্র আক্রোশ। যে দেশে মেয়েদের জীবন মাছের জীবনের সঙ্গে তুলনীয়, যে দেশে অপরাধের তারতম্য না দেখেই লোককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়; সেই দেশ, সেই সমাজকে আপনি বার বার আক্রমণ করেছেন।
     একসময় ট্যাক্সিতে উঠেছে আপনার ভাগ্নি হানা ( ইংরেজিতে নিস লেখা, ভাইঝি বা ভাগ্নি দুইই হয়, আমি ভাগ্নি ধরলাম)। হানার স্কুলের প্রোজেক্ট একটি সিনেমা বানানো। কিন্তু স্কুলের শিক্ষক বলে দিয়েছেন কিরম সিনেমা বানাতে হবে। আর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা যাবে না, ছেলেদের টাই পরানো যাবে না, চরিত্রের নাম ধার্মিক নাম হতে হবে। একসময় গাড়ি চালাতে চালাতে সে সব আর শুনতে চাইলেন না আপনি, বিরক্ত হয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলেন। আসলে এই শিক্ষক যে ইরান সরকার, যারা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয় পরিচালকদের ওপর। কিছু পরে আপনার পুরনো সিনেমার অভিনেত্রী ও একিই অভিযোগ করেন। এবং হানাকে বলতে শোনা যায় "ওরা নিজেরাই তো দুঃখ তৈরি করে, তবে তা দেখাতে দেয় না কেন? আমি গুলিয়ে ফেলেছি কোনটা বাস্তব আর কোনটা কল্পনা।" ব্যাথা দেয় জাফরবাবু, হানার কথা আমাদেরও ব্যাথা দেয়। সিনেমার শেষে তো আপনি সেই কথাই বলেন, "সরকার মনে করে না আমার সিনেমা জনসাধারণকে দেখানোর যোগ্য।"
     এবার বলি সিনেমায় আমার প্রিয় দৃশ্যের কথা। আপনি ট্যাক্সিতে হানাকে রেখে বেড়িয়েছেন। হানা জানালা দিয়ে দেখে এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি গাড়িতে উঠছে, এবং এক পেশাদারী ফোটোগ্রাফার হ্যান্ডিক্যাম দিয়ে তাদের ছবি তুলছে। হানা পুরো দৃশ্যটি নিজের স্কুলের প্রজেক্টের জন্য নিজের ছোট ক্যানন ক্যামেরাতে তুলে রাখছে। হঠাৎ দেখে একটি ছেলে কাঁধে এক বড় বস্তা নিয়ে সেখান দিয়ে যেতে গিয়ে রাস্তা থেকে একটি টাকা কুড়িয়ে নেয়। ঘটনাক্রমে টাকাটি খানিক্ষন আগেই বরের পকেট থেকে পরেছে। ছেলেটি এরপর যখন একটি ডাস্টবিন এর মধ্যে কাজের জিনিস খুঁজতে যায়, হানা তাকে ডাকে আর বলে টাকাটি ফেরত দিয়ে আসতে। তাহলে আত্মত্যাগের মত একটি দরকারি গুণ প্রকাশ পাবে, এবং এটি হানার সিনেমায় কাজে দেবে। হানা ছেলেটিকে নিজের সিনেমার নায়ক করারও প্রস্তাব দেয়। ছেলেটি বলে ওঠে -- "আত্মত্যাগ, দানধ্যান, এসব কি ফালতু জিনিস।" গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে জাফরবাবু, খানিক্ষণের জন্য সিনেমাটা থামাই। অবশেষে ছেলেটি যখন রাজি হয় টাকাটি ফেরত দিতে, তখন ওই পেশাদারী ফোটোগ্রাফার তাকে সরিয়ে দিতে থাকে গাড়ির সামনে থেকে। কি অপূর্ব দৃশ্য। ফোটোগ্রাফারের বড় ক্যামেরাতে ধরা পড়ছে শুধুই দম্পতি, দূরে গাড়ির মধ্যে বসে ছোট ক্যামেরাতে হানা তুলে নিচ্ছে পুরো দৃশ্য। কার ক্যামেরা বড়, কার ছবি বড়। সারাজীবন ওই দৃশ্যটা ভুলতে পারব না জাফরবাবু।
     শুনলাম বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে "গোল্ডেন বেয়ার" জেতার পর ট্যাক্সি সম্বন্ধে বিখ্যাত পরিচালক ড্যারেন আফ্রোন্সকি নাকি বলেছেন এই সিনেমা হচ্ছে প্রেমপত্র, এই শিল্প, সমাজ, দেশ, দর্শকের প্রতি আপনার প্রেমপত্র। আমার এই চিঠি হয়ত আপনার কাছে কোনদিন যাবে না, গেলেও হয়ত আপনি বাংলাভাষা বুঝবেন না। তা হোক, আপনি যে ভাষা বোঝেন, যে ভাষায় কথা বলেন, সেই সিনেমার ভাষা, সেই প্রেমের ভাষায় আমাদের মত দর্শকদের সঙ্গে কথা বলুন। আর আমরা মুগ্ধ হয়ে আপনার কথা শুনি।

ভালো থাকবেন। খুদা হাফিজ।

ইতি,

কণাদ




Friday, January 22, 2016

নেতাজী জয়ন্তী

- কোথায় চললি?
- এই তো আজ নেতাজী  জয়ন্তী, তাই ক্লাবের অনুষ্ঠানে। তুই?
- আমিও, চল, একসাথে যাওয়া যাক।
- ভালোই হল। আজ শুনেছিস প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে নাকি নেতাজীর অন্তর্ধানের গোপন তথ্য পাওয়া যাবে?
- শুনলাম। দারুণ ব্যাপার। অনেকদিন আগেই এটা উচিত ছিল।
- একদম, কটা নাগাদ করবে জানিস?
- হবে বিকেলবেলা করে, সরকারি ব্যাপার ভাই।
- বিকেলে তো আবার ডার্বি।
- ডার্বি আবার কি? আবার ৪ গোল খাবি, যতবার ডার্বি, ততবার হারবি।
- যাহ যাহ, আগে একবার আই লিগটা জিতে দেখা বুঝলি। মোহনবাগান ভারতসেরা।
- তাতেও তো আমাদের কাছে ৪-৫ গোল খেয়ে থাকিস।
- ৫ গোল নিজের চোখে দেখেছিস বাবু? বাজে বকছিস। আমি দেখেছি।
- ৫-০ আর ৫-৩ এক হল? যত অশিক্ষিত ঘটি।
- কোথাকার শিক্ষিত বাঙ্গাল এলো রে? একবারও এই লিগ জেতার মুরোদ নেই, সেই কোন প্রাগৈতিহাসিক যুগে জাতীয় লিগ জিতেছে, এখন বাতেলা!!
- ভাগ শালা, তোর সাথে কোথাও যাবো না, তুই একাই ক্লাবে যা। তোর সঙ্গে নেতাজী জয়ন্তী পালন করলে নেতাজীর অপমান। বাড়ি যাই।
- আমারও বোয়ে গেছে তোর সাথে ক্লাবে যেতে, বাড়ি গেলাম। এক বাপের ব্যাটা হলে খেলা শেষের পর দেখা করিস।
- যা ভাগ
- দুর হ 

Saturday, January 16, 2016

থাপ্পড়

"স্যার ভালো আছেন?"
"আরে, কবে এলে? এস, এস, ভেতরে বস। আরে থাক থাক আর প্রণাম করতে হবে না।"
"পরশু রাত্রে এসেছি।"
"তোমার খবরটা পড়েছি কাগজে, বাড়িতে সবাইকে বলেছি দেখো এই ছেলেকে আমি নিজে হাতে অঙ্ক শিখিয়েছি, আজ সেই ছেলে অঙ্কে নোবেল মানে ফিল্ডস মেডেল পেয়েছে। তুমি তো বোধহয় প্রথম ভারতীয় তাই না? "
"না না স্যার, আমার আগে প্রফেসর ভারগভ পেয়েছিলেন ২০১৪-এ, আমি প্রথম বাঙ্গালি বলতে পারেন।"
"বেশ বেশ, ভাবা যায়, আমাদের এই স্কুলের ছেলে, সেই সাদা জামা, কালো প্যান্ট পড়ে স্কুলে আসতে সাইকেলে চেপে, সে আজ অঙ্কে নোবেল পেয়েছে। এই বিল্টু তোর মাকে বল চা করতে। "
"না না স্যার, চা লাগবে না।"
"আরে খাও খাও, শীতের দিন। তোমার সব খবর তো কাগজে পড়ি। সেদিন দেখি লিখেছে তোমার প্রিয় খাবার নাকি আলু পোস্ত। আমি তো শুনে হাসছি, আরে আমাদের বর্ধমানের ছেলে, তার প্রিয় খাবার আলু পোস্ত ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে নাকি?"
"আপনার কি খবর স্যার, কাকিমা কেমন? আর কৌশিকদা?"
"তোমার কাকিমার বড় বাতের ব্যাথা, নড়তেই পারেনা তেমন। আমার চলছে। এখনও রোজ সকালে দু মাইল হাঁটি। কৌশিক স্টেট ব্যাঙ্কে চাকরি করে। এই তো বিল্টুওরই ছেলে, আমার একমাত্র নাতি। এবছর ক্লাস থ্রিতে উঠল। তা তোমার সঙ্গে বহুদিন বাদে দেখা হল। এত সকালে কি মনে করে?"
"ইয়ে স্যার আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।"
"কি বলতো?"
"মনে আছে স্যার, ক্লাস নাইনে আপনি আমাকে একটা থাপ্পড় মেরেছিলেন?"
"মেরেছিলাম? মনে নেই তো। বয়স হচ্ছে তো। তা কেন মেরেছিলাম বলতো? তুমি তো ভালো ছেলে ছিলে? ক্লাসের ফার্স্ট বা সেকেন্ড বয়।"
"আমি একটা দ্বিঘাত সমীকরণ কষতে গিয়ে স্টেপ জাম্প করি, তাই। আপনি ভীষণ বকেছিলেন আর বলেছিলেন যেন কোনদিন আর স্টেপ জাম্প না করি। বিশ্বাস করুন, তারপর থেকে আর কোনদিন স্টেপ জাম্প করিনি। আই আই টি তে পড়তেও না, এম আই টি তে পড়তেও না, এখন যে হার্ভার্ড এ পড়াই, এখনও না। এমনকি যে কাজের জন্য এই ফিল্ডস মেডেলটা পেলাম, সেটা করতে গিয়েও না। যখনই স্টেপ জাম্প করার প্রলোভন জাগে, আপনার থাপ্পড়টা মনে পড়ে যায়।"


Friday, January 15, 2016

মধ্যবিত্ত ভীরু প্রেম

শীতকালে গোধূলিবেলা আসে না, ঝুপ করে অন্ধকার নামে। সাত ওভারের ক্রিকেট খেলায় দ্বিতীয় ইনিংস কেউ খেলতে চায় না, ব্যাটিং শেষ করা যায় না।

   এ তো আর গ্রীষ্মকাল না, সে লম্বা বিকেলবেলাও পাওয়া যাবে না। গ্রীষ্মের বিকেল দীর্ঘস্থায়ী, সে তুমি চাও বা না চাও। তোমার মন ভাল থাকলে তাকে উপভোগ করো; মন খারাপ থাকলে তাকে অভিশাপ দিয়ে সন্ধ্যার প্রতীক্ষা করো। এ বর্ষার বিকেলও না, যা তোমার মন খারাপ করে দেবে। এ শীতকালের বিকেল -- তোমার মনের তোয়াক্কা সে করে না, শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যাবে, তোমাকে খুশি করা বা তোমার মন খারাপ করা তার দায়িত্ব নয়।

  বুঝতে পারলাম ঠোঁটটা ফেটেছে। সদ্য শীতের প্রথম ঠোঁট ফাটা নয় যে নোনতা রক্তের স্বাদ লেগে থাকবে। শেষ পৌষের ছোঁয়ায় ঠোঁটটা সাদা হয়ে এসেছে। বাঁ হাতে সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরে রেখে ডান হাতে মাফলারটা জড়িয়ে নিলাম ভাল করে। উত্তুরে শীতের হাওয়া যেন ঝাপটা মারছে। পুরো রাস্তায় দুটি সাইকেল। আর কোন যানবাহন বা মানুষও চোখে পড়ে না। আমার সবুজ রঙের হিরো জেটের সামনে এক তন্বী। প্রায় অনেকক্ষণ ধরেই আমার সামনে চলেছেন তিনি। পরনে সাদার ওপর গোলাপি ফুলের ছাপ চুড়িদার ও বাদামী সোয়েটার। লম্বা বিনুনি পিঠের ওপর এলিয়ে পরেছে। মাথায় কোন ওড়না বা স্কার্ফ নেই। ঠাণ্ডা লাগে না?
    চমকে উঠলাম। আচ্ছা, সেও তো মাথা ঢাকত না। সেদিন তারো পরনে ছিল এরকমই এক চুড়িদার ও সোয়েটার। এমনকি বিনুনিটিও ......। আমি যদি সেদিন মাফলার জড়াই নি। রক্ত গরম, ঠাণ্ডা লাগেনা, তাই মাফলারও লাগেনা -- এই কি বোঝাতে চেয়েছিলাম? গত কুড়ি বছরে আমার সাইকেলের পরিবর্তন না হলেও আমার শরীরের হয়েছে -- আজ আমি মাফলার পরিহিত।
     আচ্ছা, এগিয়ে যাবো? পাশে গিয়ে তাকাবো তার দিকে? এই মেয়েটি হয়ত সে নয় -- হতেও তো পারে সে!! তাহলে কি সেদিনকার মতই তাকাবে আমার দিকে? ডান চোখের কোনের তিলটির পাশের চামড়া কি একিই ভাবে কুঁচকাবে? ভ্রু পল্লবে কি দেখা দেবে চিন্তার রেখা? সোয়েটারের সঙ্গে সেফটিপিনে বাঁধা ওড়না কি ঠিক করে নেবে?
   সেই মুহূর্তে, যে মুহূর্তে পাড়ার মাঠের ছেলেরা ক্রিকেট ছেড়ে উইকেট তুলতে যায়, যে মুহূর্তে ট্রিঙ্কাসের গায়ক "মনে পড়ে রুবি রায়" ধরেন, যে মুহূর্তে লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রী মাঙ্কি ক্যাপটি জড়িয়ে চা ওয়ালার কাছে আর এক কাপ চা চায় "২ টো ডায়মন্ড" ডাক দিয়ে, যে মুহূর্তে পাড়ার ওষুধের দোকানের আলোগুলো জ্বলে ওঠে, রোলের দোকানের প্রথম ডিমটা ফেটানো হয়, যে মুহূর্তে অলস ভাবে শুয়ে শুয়ে পাশের বাড়ির তুলশিতলায় সন্ধ্যাপ্রদীপের শিখা দেখে অপূর্বর অপর্ণার কথা মনে পড়ে -- সেই মুহূর্তে আমি সাইকেলটা এগিয়ে নিলাম, তার দিকে না তাকিয়েই বললাম -- "সেদিন চিঠিটা নিলেই পারতে, কস্তূরী।"