-- বিলু, তুই গোলটা বানা।
-- ওদের ইট নেব?
-- না, আমাদের গুলো কই?
-- আছে, কিন্তু দেখ ওদের নতুন ইট। ভালো হবে।
-- হোক, আমাদের গুলোই নে।
-- আজ কত পা?
-- আজ তো সবাই আছে, দশ পা কর।
-- করছি।
বিলু যে খুব একটা খুশী না বুঝতে পারলাম। কিন্তু শুভদার মুখের ওপর কথা বলার স্পর্ধা আমাদের নেই। আজ সবাই এসেছে মাঠে। কারণ আজকেই আমাদের এ মাঠে শেষ খেলা। আমাদের পাড়ার এই মাঠটায় আমরা ছোটবেলা থেকে খেলে এসেছি। এই মাঠ কার, কেন এরকম খালি পড়ে আছে, কোনদিন মাথায় আসেনি। মাথায় এলো কয়েক সপ্তাহ আগে। এরকমই বিকেলে আমরা খেলছি এই সময় একদল লোক একটা জিপ গাড়ি করে এসে নামল।
-- এই যে খোকারা, এই মাঠে খেলা বন্ধ করতে হবে।
-- মানে?
-- এই মাঠ দত্তবাবুর। তিনি আমাদেরকে এই মাঠ বেচে দিয়েছেন, এখানে ফ্ল্যাটবাড়ি হবে।
-- বললেই হল?
-- আরে কাগজ আছে আমাদের। শোন, আজ থেকে এই মাঠে খেলা বন্ধ কর।
তারপর কয়েকদিন আমাদের সত্যি খেলা বন্ধ থাকল। আমাদের বাবারা কন্ট্রকটারের সঙ্গে কথা বোলে একটা মিটমাট করলেন। বাড়ি তৈরি শুরু হওয়ার আগেরদিন পর্যন্ত আমরা মাঠে খেলতে পারি। তাই আজকেই শেষ দিন।
খেলা শুরু হয়ে গেল। পিন্টু আমাদের গোলে। রানা ওদের। আজ সবাই আসায় বেশ জমজমাট খেলা চলল। সানির স্বভাব মেরে খেলা। আজো মারল আমায়। আমি "ফাউল" বোলে বসে পড়লাম। অন্যদিন হলে সানি চলে আসত ঝগড়া করতে; আজ কিছুই বলল না। মাঠের এক ধারে ইট ফেলা। শুভদা বোলে দিয়েছে, ওদের ইট ছোঁয়া যাবে না। তাই ওটাই আজ থ্রো লাইন।
এর মধ্যে কৌশিকের পাস থেকে ওদের হয়ে গোল করে দিল আকাশ। কিন্তু পিন্টু মানতে চায় না ওটা গোল। বল নাকি ইটের ওপর দিয়ে গেছে, তাই গোল না। আমাদের মাঠের এই সমস্যা। গোলপোস্ট নেই। তাই দু দিকে ইট দিয়ে গোল করে খেলা হয়। এইরকম গোল নাকচ লেগেই থাকে।
খেলা ড্রই চলল। একদম শেষদিকে শুভদার বাড়ানো বল আমি সোজা রানার পায়ের ফাঁক দিয়ে গলিয়ে দিলাম। শুভদা অন্যদিন হলে হাত মেলাতে আসত। আজ এলোই না।
খেলা শেষ। সবাই মাঠে বসে আছে। রোজই এভাবে আমরা বসে থাকি খানিকক্ষণ খেলার পর। এমনি আড্ডা হয়। খেলা নিয়ে, স্কুল নিয়ে, সিনেমা নিয়ে, কাকাবাবু না অর্জুন নিয়ে। আজ সেসব হল না। সবাই যেন কেমন ঝিম মেরে আছে। প্রথম কথা বলল শুভদা
-- আগেরদিন যখন খেলা বন্ধ করেছিল, তখন একটা চমক লেগেছিল। ভাবতেই পারিনি একদিন আমরা আর এই মাঠে খেলতে পারব না। আজকেরটা যেন আরও কষ্টের। তাই না?
-- ওদের ইট নেব?
-- না, আমাদের গুলো কই?
-- আছে, কিন্তু দেখ ওদের নতুন ইট। ভালো হবে।
-- হোক, আমাদের গুলোই নে।
-- আজ কত পা?
-- আজ তো সবাই আছে, দশ পা কর।
-- করছি।
বিলু যে খুব একটা খুশী না বুঝতে পারলাম। কিন্তু শুভদার মুখের ওপর কথা বলার স্পর্ধা আমাদের নেই। আজ সবাই এসেছে মাঠে। কারণ আজকেই আমাদের এ মাঠে শেষ খেলা। আমাদের পাড়ার এই মাঠটায় আমরা ছোটবেলা থেকে খেলে এসেছি। এই মাঠ কার, কেন এরকম খালি পড়ে আছে, কোনদিন মাথায় আসেনি। মাথায় এলো কয়েক সপ্তাহ আগে। এরকমই বিকেলে আমরা খেলছি এই সময় একদল লোক একটা জিপ গাড়ি করে এসে নামল।
-- এই যে খোকারা, এই মাঠে খেলা বন্ধ করতে হবে।
-- মানে?
-- এই মাঠ দত্তবাবুর। তিনি আমাদেরকে এই মাঠ বেচে দিয়েছেন, এখানে ফ্ল্যাটবাড়ি হবে।
-- বললেই হল?
-- আরে কাগজ আছে আমাদের। শোন, আজ থেকে এই মাঠে খেলা বন্ধ কর।
তারপর কয়েকদিন আমাদের সত্যি খেলা বন্ধ থাকল। আমাদের বাবারা কন্ট্রকটারের সঙ্গে কথা বোলে একটা মিটমাট করলেন। বাড়ি তৈরি শুরু হওয়ার আগেরদিন পর্যন্ত আমরা মাঠে খেলতে পারি। তাই আজকেই শেষ দিন।
খেলা শুরু হয়ে গেল। পিন্টু আমাদের গোলে। রানা ওদের। আজ সবাই আসায় বেশ জমজমাট খেলা চলল। সানির স্বভাব মেরে খেলা। আজো মারল আমায়। আমি "ফাউল" বোলে বসে পড়লাম। অন্যদিন হলে সানি চলে আসত ঝগড়া করতে; আজ কিছুই বলল না। মাঠের এক ধারে ইট ফেলা। শুভদা বোলে দিয়েছে, ওদের ইট ছোঁয়া যাবে না। তাই ওটাই আজ থ্রো লাইন।
এর মধ্যে কৌশিকের পাস থেকে ওদের হয়ে গোল করে দিল আকাশ। কিন্তু পিন্টু মানতে চায় না ওটা গোল। বল নাকি ইটের ওপর দিয়ে গেছে, তাই গোল না। আমাদের মাঠের এই সমস্যা। গোলপোস্ট নেই। তাই দু দিকে ইট দিয়ে গোল করে খেলা হয়। এইরকম গোল নাকচ লেগেই থাকে।
খেলা ড্রই চলল। একদম শেষদিকে শুভদার বাড়ানো বল আমি সোজা রানার পায়ের ফাঁক দিয়ে গলিয়ে দিলাম। শুভদা অন্যদিন হলে হাত মেলাতে আসত। আজ এলোই না।
খেলা শেষ। সবাই মাঠে বসে আছে। রোজই এভাবে আমরা বসে থাকি খানিকক্ষণ খেলার পর। এমনি আড্ডা হয়। খেলা নিয়ে, স্কুল নিয়ে, সিনেমা নিয়ে, কাকাবাবু না অর্জুন নিয়ে। আজ সেসব হল না। সবাই যেন কেমন ঝিম মেরে আছে। প্রথম কথা বলল শুভদা
-- আগেরদিন যখন খেলা বন্ধ করেছিল, তখন একটা চমক লেগেছিল। ভাবতেই পারিনি একদিন আমরা আর এই মাঠে খেলতে পারব না। আজকেরটা যেন আরও কষ্টের। তাই না?