সুমিতের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ক্লাস সিক্স থেকে। সেই যে স্যার সেবছর আমাকে আর সুমিতকে পাশাপাশি বসতে বললেন, আর সারা বছর আমরা ক্লাসরুমের দ্বিতীয় সারির চতুর্থ বেঞ্চে বসলাম। সুমিতকে বয়সের তুলনায় একটু বড়ই লাগত। অন্তত আমার থেকে তো বড়ই। তখন সবে সাইকেল চালানো শিখেছি। মফস্বলের ছেলেদের কাছে এ এক অন্য স্বাধীনতা। তবু স্কুলে সাইকেলে করে আসার অনুমতি পাওয়া যায়নি। ছোটকার বাইকের পেছনে চেপে স্কুলে আসতে হত। সুমিত কিন্তু সেই বয়সেই নিজে সাইকেল করে স্কুলে আসত। হিংসা করতাম ওকে। আমি অনুমতি পেয়েছিলাম পাক্কা এক বছর বাদে, যখন আমি ক্লাস সেভেন-এ । তাও তো আমাকে ছোটকা নিজে হাতে ধরে সাইকেল চালাতে শিখিয়েছে; সুমিত নিজে নিজেই হাফ প্যাডেল মারতে মারতে শিখেছে। একদিন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে বলে, "জানিস, কাল আমি সাইকেল চালিয়ে গাংপুর গেছি।"
আমাদের বর্ধমানের পরের স্টেশন গাংপুর। তেমন কিছু দূর নয় হয়ত। কিন্তু একটা ক্লাস সিক্সের ছেলে একা একা সাইকেল চালিয়ে সেখানে যাওয়াটা আমার কাছে তার আগের বছর কলকাতায় গিয়ে দেখা "হোম এলোন" সিনেমার সেই ছেলেটার চেয়ে কম অ্যাডভেঞ্চার কিছু মনে হয়নি। খালি ভাবতাম কবে আমিও সাইকেল চালিয়ে গাংপুর যাবো। দুঃখের কথা, আজও সে সাধ অপূর্ণ রয়ে গেছে। সুমিতের যে কথাটা প্রায়ই মনে পড়ে ওর বড় হওয়ার স্বপ্ন। "বড় হয়ে কী হতে চাস?" জিজ্ঞেস করলেই সুমিতের জবাব ছিল, "আমি ট্রেন চালাতে চাই।"
"ট্রেন চালাবি?"
"হ্যাঁ, ট্রেন চালাব। মজা না? ট্রেন চালিয়ে সারা দেশটা ঘুরব। দিল্লী, বম্বে, ম্যাড্রাস, সব যাব। আর তুই কি চাস আগে বল?"
"কাউকে বলবি না তো?"
"না, মা কালীর দিব্যি। বল।"
"আমি মহাকাশচারী হব।"
"রাকেশ শর্মার মত?"
"না, নীল আর্মস্ট্রং-এর মত। উনি যেমন প্রথম মানুষ চাঁদে গেছিলেন, আমিও মঙ্গল গ্রহে পা রাখা প্রথম মানুষ হব। কাউকে বলবি না কিন্তু।"
"আরে না না, বলব না বলছি তো।"
"তুই কি ট্রেন চালাবি? আমাদের কর্ড লাইন সুপার?"
"ফু, আমি তুফান মেল চালাব। পূর্বা চালাব, কালকা চালাব।"
"রাজধানী এক্সপ্রেস চালাবি না।"
"না, ওটা বাজে ট্রেন।"
"সে কি রে? রাজধানী তো সবচেয়ে জোরে চলে।"
"চলুক, যে ট্রেন আমার বর্ধমানে থামে না, সেটা বাজে ট্রেন।"
এরপর একদিন ক্লাস সিক্স শেষ হয়ে সেভেনে পা দিলাম আমরা। সুমিত নয়, আমার পাশে বসল ধীমান। ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত ধীমান আমার পাশেই বসত। অন্যান্য বন্ধুদের মাঝে সুমিত যেন কোথায় হারিয়ে গেল। আসলে আমাদের অনেক ফারাক। সুমিত আমার মত ক্রিকেট খেলতে বা ফেলুদা পড়তে ভালবাসত না। আমি, ধীমান, তন্ময়, দেবাঞ্জনরা যখন মিত্তিরদের মাঠে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলছি, বা খেলা শেষে অপ্সরা থিয়েটারের মামলা নিয়ে আলোচনা করছি, সুমিত হয়ত তখন রেল লাইনের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে কোথাও যাচ্ছে। তারপর একদিন আমিও বর্ধমানের পাট চুকিয়ে দিলাম। কলকাতা, কানপুর ঘুরে এই মার্কিন দেশে এসে থিতু হলাম। বাবার চাকরিও কলকাতার ব্যাঙ্কে। তাই নতুন ফ্ল্যাট কিনে বাবা মাও চলে এল লেকটাউনে। ছোটকাও বেশিদিন থাকল না বর্ধমানে। কাজের সূত্রে চলে গেল দিল্লী। শুধু রয়ে গেল মেজকা আর কাকিমণি। মেজকার মেয়ে পুতুলদিদির বিয়ে হল দুর্গাপুরে, তাই মেজকা শত অনুরোধেও বর্ধমান ছাড়ল না।
আমার এই বহু বছর বাদে বর্ধমান আসার কারণটা কিন্তু আলাদা। রূপসার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আর ও দেশে থাকতে ইচ্ছে করল না। প্রথমে তো ভেবেছিলাম চাকরি বাকরি ছেড়ে দেব। কিন্তু আমার সহকর্মী প্রোফেসর গিবস বারণ করলেন। তাই আপাতত স্যাবাটিকাল নিয়ে ভারতবর্ষে। ভাবলাম অনেক বছর বর্ধমান যাইনা। তাই মা-বাবা-আমি তিন জন মিলেই এবার বর্ধমানে। মেজকা তো ভীষণ খুশি। কাকিমণি রোজ নিত্য নতুন রান্না খাওয়াচ্ছে। একটা ভালো, এই বাড়িটা বিশাল। তাই মাঝে মাঝেই আমি তিনতলার কোন ঘরে একা একা থাকি। কেউ ডাকতেও আসে না। দেখছেন আবার বাজে বকছি, গল্পটা তো আমার একা থাকা নিয়ে নয়, গল্পটা তো সুমিতকে নিয়ে।
সুমিতের সঙ্গে আমার আবার দেখা হল পরশু বিকেলে। বর্ধমান গত কয়েক বছরে এত পাল্টে যাবে আমি ভাবতেও পারিনি। আগে যেমন ছিল শুধুই সাইকেল রিক্সা, এখন পুরো শহরে টোটো ছেয়ে গেছে। টোটো এক ধরনের ব্যাটারি চালিত রিকশা। উঠলেই দশ টাকা ভাড়া, যতদূর খুশি যেতে পারেন। বর্ধমানে বিগ বাজার, ডমিনোজ পিতজা, আইনক্স সিনেমা সব হয়েছে দেখলাম। পুরনো সিনেমা হলগুলি প্রায় সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেদিন আইনক্স থেকে একটা সিনেমা দেখে বেড়িয়ে ভাবলাম হেঁটেই বাড়ি ফিরি। সুন্দর হাওয়া দিচ্ছে, তেমন গরমও নেই। মিনিট দুয়েক হাঁটার পর একটা সাইকেল যেন ঘাড়ের কাছে এসে থামল।
"চিনতে পারছিস? তোকে আইনক্সের সামনেই দেখেছিলাম। ডাকলাম, শুনতে পারিসনি বোধহয়।"
চিনতে পারিনি। তবে সাইকেলটার দিকে চোখ যেতেই পারলাম।
"সুমিত না?"
"আরে, তুই চিনতে পেরেছিস। আমি সত্যি ভাবিনি পারবি?"
"তোর সাইকেল দেখে পারলাম। এখনও বদলাসনি?"
"নো স্যার, গত ২০ বছর ধরে সেই সাইকেল। অনেকবার সারাতে হয়েছে। চল, ওই চায়ের দোকানে গিয়ে বসি। তুই এখানকার চা খাস তো?"
"কেন খাব না? চল।"
"না তুই এখন বিদেশি মানুষ ভাই।"
"ধুর, চল, চা খাওয়া যাক। তুই কি এখনও সেই পুরনো বাড়িতেই আছিস, নার্স কোয়ার্টারের কাছে?"
"একদম। কতদিন আছিস, একদিন চলে আসিস। আমার গিন্নী, মেয়ের সাথে তোর আলাপ করিয়ে দেব।"
"তোর মেয়ে আছে? বাহ, কত বড়?"
"এই ৪ বছরের। তোর কি খবর? বিয়ে থা করিসনি?"
বুঝলাম সুমিত জানে না। ইচ্ছে করেই মিথ্যে কথা বললাম।
"নাহ করিনি।"
"কর কর, বুড়ো হয়ে গেলি তো? এই কৃষ্ণ, এদিকে দুটো স্পেশাল চা দে।"
"তা তুই কি চাকরি করছিস?"
"হ্যাঁ রে ভাই, আমার তো জানিস। রেলে আছি।"
"ওহ, কোন স্টেশনে? বর্ধমানেই?"
"আরে না রে ভাই, আমি ড্রাইভার। ট্রেন চালাই। মনে আছে তোকে বলতাম স্কুলে পড়তে। আজই তো সকালে দুন এক্সপ্রেস নিয়ে ফিরলাম। হে হে হে ... এই নে চা।"
গরম চা টা হাতে নিয়ে এক মুহূর্ত যেন থমকে দাঁড়ালাম। এই সুমিত, যে ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখত ট্রেন চালাবে, আজ নিজের স্বপ্ন সত্যি করেছে। আর আমি, আমি যেন সেই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া এক সাধারণ মানুষদের একজন, যারা কোন আরামের অবস্থান পেলেই নিজেদের স্বপ্ন ত্যাগ করতে দুবার ভাবে না, বা নিজেদের স্বপ্নটা পাল্টে ফেলে।
একবার চট করে আকাশের দিকে চোখ গেল। মঙ্গল গ্রহে এখনও মানুষের পা পড়েনি।
আমাদের বর্ধমানের পরের স্টেশন গাংপুর। তেমন কিছু দূর নয় হয়ত। কিন্তু একটা ক্লাস সিক্সের ছেলে একা একা সাইকেল চালিয়ে সেখানে যাওয়াটা আমার কাছে তার আগের বছর কলকাতায় গিয়ে দেখা "হোম এলোন" সিনেমার সেই ছেলেটার চেয়ে কম অ্যাডভেঞ্চার কিছু মনে হয়নি। খালি ভাবতাম কবে আমিও সাইকেল চালিয়ে গাংপুর যাবো। দুঃখের কথা, আজও সে সাধ অপূর্ণ রয়ে গেছে। সুমিতের যে কথাটা প্রায়ই মনে পড়ে ওর বড় হওয়ার স্বপ্ন। "বড় হয়ে কী হতে চাস?" জিজ্ঞেস করলেই সুমিতের জবাব ছিল, "আমি ট্রেন চালাতে চাই।"
"ট্রেন চালাবি?"
"হ্যাঁ, ট্রেন চালাব। মজা না? ট্রেন চালিয়ে সারা দেশটা ঘুরব। দিল্লী, বম্বে, ম্যাড্রাস, সব যাব। আর তুই কি চাস আগে বল?"
"কাউকে বলবি না তো?"
"না, মা কালীর দিব্যি। বল।"
"আমি মহাকাশচারী হব।"
"রাকেশ শর্মার মত?"
"না, নীল আর্মস্ট্রং-এর মত। উনি যেমন প্রথম মানুষ চাঁদে গেছিলেন, আমিও মঙ্গল গ্রহে পা রাখা প্রথম মানুষ হব। কাউকে বলবি না কিন্তু।"
"আরে না না, বলব না বলছি তো।"
"তুই কি ট্রেন চালাবি? আমাদের কর্ড লাইন সুপার?"
"ফু, আমি তুফান মেল চালাব। পূর্বা চালাব, কালকা চালাব।"
"রাজধানী এক্সপ্রেস চালাবি না।"
"না, ওটা বাজে ট্রেন।"
"সে কি রে? রাজধানী তো সবচেয়ে জোরে চলে।"
"চলুক, যে ট্রেন আমার বর্ধমানে থামে না, সেটা বাজে ট্রেন।"
এরপর একদিন ক্লাস সিক্স শেষ হয়ে সেভেনে পা দিলাম আমরা। সুমিত নয়, আমার পাশে বসল ধীমান। ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত ধীমান আমার পাশেই বসত। অন্যান্য বন্ধুদের মাঝে সুমিত যেন কোথায় হারিয়ে গেল। আসলে আমাদের অনেক ফারাক। সুমিত আমার মত ক্রিকেট খেলতে বা ফেলুদা পড়তে ভালবাসত না। আমি, ধীমান, তন্ময়, দেবাঞ্জনরা যখন মিত্তিরদের মাঠে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলছি, বা খেলা শেষে অপ্সরা থিয়েটারের মামলা নিয়ে আলোচনা করছি, সুমিত হয়ত তখন রেল লাইনের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে কোথাও যাচ্ছে। তারপর একদিন আমিও বর্ধমানের পাট চুকিয়ে দিলাম। কলকাতা, কানপুর ঘুরে এই মার্কিন দেশে এসে থিতু হলাম। বাবার চাকরিও কলকাতার ব্যাঙ্কে। তাই নতুন ফ্ল্যাট কিনে বাবা মাও চলে এল লেকটাউনে। ছোটকাও বেশিদিন থাকল না বর্ধমানে। কাজের সূত্রে চলে গেল দিল্লী। শুধু রয়ে গেল মেজকা আর কাকিমণি। মেজকার মেয়ে পুতুলদিদির বিয়ে হল দুর্গাপুরে, তাই মেজকা শত অনুরোধেও বর্ধমান ছাড়ল না।
আমার এই বহু বছর বাদে বর্ধমান আসার কারণটা কিন্তু আলাদা। রূপসার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আর ও দেশে থাকতে ইচ্ছে করল না। প্রথমে তো ভেবেছিলাম চাকরি বাকরি ছেড়ে দেব। কিন্তু আমার সহকর্মী প্রোফেসর গিবস বারণ করলেন। তাই আপাতত স্যাবাটিকাল নিয়ে ভারতবর্ষে। ভাবলাম অনেক বছর বর্ধমান যাইনা। তাই মা-বাবা-আমি তিন জন মিলেই এবার বর্ধমানে। মেজকা তো ভীষণ খুশি। কাকিমণি রোজ নিত্য নতুন রান্না খাওয়াচ্ছে। একটা ভালো, এই বাড়িটা বিশাল। তাই মাঝে মাঝেই আমি তিনতলার কোন ঘরে একা একা থাকি। কেউ ডাকতেও আসে না। দেখছেন আবার বাজে বকছি, গল্পটা তো আমার একা থাকা নিয়ে নয়, গল্পটা তো সুমিতকে নিয়ে।
সুমিতের সঙ্গে আমার আবার দেখা হল পরশু বিকেলে। বর্ধমান গত কয়েক বছরে এত পাল্টে যাবে আমি ভাবতেও পারিনি। আগে যেমন ছিল শুধুই সাইকেল রিক্সা, এখন পুরো শহরে টোটো ছেয়ে গেছে। টোটো এক ধরনের ব্যাটারি চালিত রিকশা। উঠলেই দশ টাকা ভাড়া, যতদূর খুশি যেতে পারেন। বর্ধমানে বিগ বাজার, ডমিনোজ পিতজা, আইনক্স সিনেমা সব হয়েছে দেখলাম। পুরনো সিনেমা হলগুলি প্রায় সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেদিন আইনক্স থেকে একটা সিনেমা দেখে বেড়িয়ে ভাবলাম হেঁটেই বাড়ি ফিরি। সুন্দর হাওয়া দিচ্ছে, তেমন গরমও নেই। মিনিট দুয়েক হাঁটার পর একটা সাইকেল যেন ঘাড়ের কাছে এসে থামল।
"চিনতে পারছিস? তোকে আইনক্সের সামনেই দেখেছিলাম। ডাকলাম, শুনতে পারিসনি বোধহয়।"
চিনতে পারিনি। তবে সাইকেলটার দিকে চোখ যেতেই পারলাম।
"সুমিত না?"
"আরে, তুই চিনতে পেরেছিস। আমি সত্যি ভাবিনি পারবি?"
"তোর সাইকেল দেখে পারলাম। এখনও বদলাসনি?"
"নো স্যার, গত ২০ বছর ধরে সেই সাইকেল। অনেকবার সারাতে হয়েছে। চল, ওই চায়ের দোকানে গিয়ে বসি। তুই এখানকার চা খাস তো?"
"কেন খাব না? চল।"
"না তুই এখন বিদেশি মানুষ ভাই।"
"ধুর, চল, চা খাওয়া যাক। তুই কি এখনও সেই পুরনো বাড়িতেই আছিস, নার্স কোয়ার্টারের কাছে?"
"একদম। কতদিন আছিস, একদিন চলে আসিস। আমার গিন্নী, মেয়ের সাথে তোর আলাপ করিয়ে দেব।"
"তোর মেয়ে আছে? বাহ, কত বড়?"
"এই ৪ বছরের। তোর কি খবর? বিয়ে থা করিসনি?"
বুঝলাম সুমিত জানে না। ইচ্ছে করেই মিথ্যে কথা বললাম।
"নাহ করিনি।"
"কর কর, বুড়ো হয়ে গেলি তো? এই কৃষ্ণ, এদিকে দুটো স্পেশাল চা দে।"
"তা তুই কি চাকরি করছিস?"
"হ্যাঁ রে ভাই, আমার তো জানিস। রেলে আছি।"
"ওহ, কোন স্টেশনে? বর্ধমানেই?"
"আরে না রে ভাই, আমি ড্রাইভার। ট্রেন চালাই। মনে আছে তোকে বলতাম স্কুলে পড়তে। আজই তো সকালে দুন এক্সপ্রেস নিয়ে ফিরলাম। হে হে হে ... এই নে চা।"
গরম চা টা হাতে নিয়ে এক মুহূর্ত যেন থমকে দাঁড়ালাম। এই সুমিত, যে ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখত ট্রেন চালাবে, আজ নিজের স্বপ্ন সত্যি করেছে। আর আমি, আমি যেন সেই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া এক সাধারণ মানুষদের একজন, যারা কোন আরামের অবস্থান পেলেই নিজেদের স্বপ্ন ত্যাগ করতে দুবার ভাবে না, বা নিজেদের স্বপ্নটা পাল্টে ফেলে।
একবার চট করে আকাশের দিকে চোখ গেল। মঙ্গল গ্রহে এখনও মানুষের পা পড়েনি।
'ক্লাস ফ্রেন্ড' মনে করিয়ে দেওয়া অদ্ভুত সুন্দর গল্প।
ReplyDeleteনা না, 'ক্লাস ফ্রেন্ড' নয়। 'চিলেকোঠা'।
ReplyDeleteমানিকবাবুর প্রায় গোটা দশেক বা তারও বেশী গল্প আছে ওই এক থিমে
DeleteEita pore bhishon mon kharap hoye gelo....chhotobelay amader je koto koto shopno chhilo, bondhuder shathe koto "plans for the future" shob moneo nei. Koto joner shonge jogajog o nei. Phnosh....
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক ইউ রিনিদি
DeleteI loved the way you portrayed the beauty of Bardhaman and evoked the childhood charm :)
ReplyDeletethanks re :)
Deletewelcome and please Bangla te lekho ebar :) really love these
Deleteশুধু যে লেখাটা ভালো লাগলো তাই নয়, একরকম অনুপ্রেরণা পেয়ে গেলাম। সুমিতের মত মানুষদের বড়ই অভাব, যদি এরকম কিছু করতে পারি তবেই না জীবনটার কোনও একটা মানে হবে শেষে গিয়ে....
ReplyDeletethanks a lot bhai. parle share koris
Deleteshei cycle nie bondhuder sathe porte jaoar kotha mone pore gelo... thanx kanad da...
ReplyDeletethanks Saptarshi
Deletebesh vlo laglo pore
ReplyDeleteSchool er diner ktha mone pore gelo
thanks Akshay
Deleteসব গুলোই মা কে পড়াবো। আমারও কত গল্প জমে থাকে। লেখার ভাষা পাইনা। তোর লেখা গুলো পড়ে অনেক গল্প ভিড় করে এলো।
ReplyDelete