এটিএম থেকে টাকা তুলে ট্রেন স্টেশনের দিকে হাঁটতে লাগল অর্ক। নিউ জার্সির জার্সি সিটিতে থাকে সে। ওদিককার বেশিরভাগ দোকানেই ক্যাশ ওনলি। তাই সপ্তাহান্তের বাজার করতে তাকে টাকা তুলতে হয়। টাকা মানে ডলার। তামাম মার্কিন দেশের বাঙালিরা ডলারকে টাকা বলে। তাই আমরাও তাই বলব। এভিনিউ এইচ ষ্টেশনে এসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল অর্ক। ওপরে ডিজিটাল বোর্ডে দেখাচ্ছে আর চার মিনিট বাদে ট্রেন। ফোনে ওয়াটস্যাপটা চেক করে নিল। নাহ, কোন নতুন মেসেজ নেই। ভেবেছিল শাল্মলী মেসেজ করবে। মেয়েটি লন্ডনে পড়াশুনো করছে। কালকেই ফেসবুকে একটা গ্রুপে আলাপ। দুজনেই উডি এলেন ফ্যান। অর্ক নিউ ইয়র্কে থাকে শুনে শাল্মলী বলে "হাউ লাকি ইউ আর।" যদিও অর্ক সত্যি সত্যি নিউ ইয়র্কে থাকেনা। থাকে নদী পেড়িয়ে নিউ জার্সিতে। কিন্তু বলতে তো ক্ষতি নেই। কে আর লন্ডন থেকে এতদূর আসবে দেখতে। অর্ক অম্লানবদনে বলে দেয় সে ব্রুকলিনের পার্ক স্লোপ অঞ্চলে থাকে। গতবছর একবার ওখানকার একটা পাবে এসেছিল। তাই কিছুটা হলেও বলতে পারবে। শাল্মলীর সঙ্গে ফেসবুকে অনেকক্ষণ চ্যাটের পর তার ফোন নম্বর পাওয়া যায়। ওয়াটস্যাপে যোগ করে অর্ক।
এবার ট্রেন এসে যায়। ট্রেন ফাঁকা। অর্ক জানালার ধারে বসতে পারে। ব্যাগ খুলে কমলকুমার মজুমদারের বই বার করে পড়ার জন্য। তার পাশে এক মহিলা এসে বসেন। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখা খারাপ, তাই পড়তে পড়তে আড়চোখে দেখে অর্ক। ভারতীয়। অথবা বাংলাদেশীও হতে পারে। নিউ ইয়র্কে এখন প্রচুর বাংলাদেশী। সত্যি কথা বলতে কি, পশ্চিমবংগের বাইরে ভারতবর্ষের অন্য কোন জায়গার চেয়ে নিউ ইয়র্কেই অর্ক বেশি বাঙালি পায়। এভিনিউ এইচ পেরোতেই হাল্কা গলার আওয়াজ পাওয়া গেল -- "আপনি কি বাঙালি?"
"হ্যাঁ, অর্ক সেনগুপ্ত। আপনি?"
"আমি চৈতালি রায়।"
একটু অদ্ভুত গলার স্বর মহিলার।
"আপনি কলকাতার কোথায় থাকেন? আমি পাটুলি।"
"আমি কলকাতার না। আমি মিলওয়াকিতে বড় হয়েছি। আমার বাবা মা এখানেই থাকেন।"
ওহ প্রবাসী বাঙালি! তাই এরকমভাবে বাংলা বলছে। শুনতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল।
"আপনি এখানে বড় হয়েছেন? ভাবাই যায়না। আপনার বাংলা ভীষণ পরিষ্কার।"
"থ্যাংকস। আমার পেরেন্টসরা ছোটবেলা থেকে আমার সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলতেন।"
"ওহ, তা আপনি বুঝলেন কি করে আমি বাঙালি?"
"আপনার হাতের বই দেখে।"
"আপনি বাংলা পড়তে পারেন?"
"হ্যাঁ, পারি তো। আমি ফেলুদা, টেনিদা, মিতিনমাসী পড়েছি।"
"আচ্ছা। কমলকুমার পড়েছেন?"
"না। আমার বাবা বলতেন উনি ছোটবেলায় স্বপনকুমার বলে একজনের বই পড়তেন। এটা কি তিনি?"
"না না, স্বপনকুমার খাজা, আই মিন, পাল্প লেখক। কমলকুমার আলাদা। মনে হবে ফরাসী সাহিত্য পড়ছেন।"
"ওহ, আমি ফরাসী সাহিত্য পড়িনা।"
"তা আপনি যাচ্ছেন কোথায়?"
"আমি, জার্সি সিটি। ওখানেই থাকি। আপনি?"
এক মুহুর্ত ভেবে নিল অর্ক। ব্রুকলিনের ঢপটা দেওয়া উচিত হবেনা। জার্সি সিটিতেই তাকে যখন, ট্রেনে দেখা হবেই।
"আমিও ওখানেই। তাহলে ভালোই হল, একসাথে যাওয়া যাবে। আপনি এখানে কি পড়ছেন না চাকরি করছেন?"
"আমি ব্রুকলিনে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকায় চাকরি করি। আপনি?"
"আমি ব্রুকলিন কলেজে পড়াই। আর কিউনিতে পি এইচ ডি করছি।"
"ওয়াও। কোন বিষয় আপনার?"
"আমার ইকোনমিক্স।"
"নো ওয়ে, আমার আন্ডারগ্র্যাড ইকোনমিক্স ছিল।"
"তাই? কোন কলেজ?"
"মিলোয়াকি কমিউনিটি কলেজ।"
"আচ্ছা। আপনি কতদিন আছেন নিউ ইয়র্কে?"
"আমি তো জার্সি সিটিতে থাকি। আমি এই তিন মাস হল এসেছি। আপনি?"
"আমার তিন বছর হল। তা আপনি উইকেন্ডে নিউ ইয়র্কে আসেন নিশ্চয়?"
"নাহ সারা সপ্তাহ ট্র্যাভেল করে ক্লান্ত থাকি। তখন শুধু বাড়ি বসে নেটফ্লিক্স। আপনি?"
"আমি আসি মাঝে মধ্যে। আপনিও তার মানে সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন?"
"হ্যাঁ ভীষণ। আপনারও?"
"হ্যাঁ। আপনার প্রিয় নায়ক কে?"
"টম ক্রুজ। আপনার?"
"ম্যাক্স ভন সিডো।"
"সেটি কে? নাম শুনিনি। কোন সিনেমা বলুন?"
"সেভেন্থ সিল।"
"না দেখিনি। কার সিনেমা?"
"বার্গম্যান। দেখেননি?"
"আমি ক্যাসাব্লাঙ্কা দেখেছি। আচ্ছা, এটলান্টিক এভিনিউ এসে গেছে। চলুন নামা যাক।"
"না না, পরেরটায় নামব। ডি ক্যাব। ওখানে পাশের প্ল্যাটফর্মেই আর আসবে। সোজা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।"
"আচ্ছা।"
সিনেমায় মিল পাওয়া না গেলেও মিল পাওয়া গেল গানে। চৈতালি গান শুনতে ভালোবাসে। অর্ক বিটেলসের বেশিরভাগ গান বাজাতে জানে শুনে খুব উৎসাহিত হল। বাকি রাস্তাটা অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে পাথ ট্রেনে চেপে জার্নাল স্কোয়ার স্টেশন অবধি বিটলস, ডিলান, সিনাত্রা, রোলিং স্টোন্স সঙ্গ দিল। গানের মাঝে আপনি থেকে তুমিতে নামতে খুব একটা অসুবিধা হলনা।
জার্নাল স্কোয়ারে নেমে চৈতালি বলল ওর বাড়ি ডানদিকে। অর্ক বামদিকে থাকে। তাই এবার আলাদা হতেই হবে। অর্ক এবার সাহস করে বলল -- "চৈতালি, তোমার সঙ্গে গল্প করে খুব ভালো লাগল। যদি কিছু মনে না কর, তোমার নম্বরটা পেতে পারি?"
"নিশ্চয়। (২০৮)...। তোমারটা দাও।"
নম্বর নেয়ার পর দুজন চলে যাচ্ছিল। চৈতালি এগিয়ে এসে অর্ককে আলিঙ্গন করল। এদেশে এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। তাই অর্কর প্রথমে কিছু মনে হয়নি। তারপর বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে মনে হতে লাগল, "মেয়েটি নিজে থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরল। নিশ্চয় আমাকে ভালো লেগেছে। উফ, আর লন্ডন নিয়ে মাথা ঘামাবো না। এই মেয়েটি আমার জন্য পারফেক্ট।"
বাড়ির দরজা অবধি পৌঁছাতে পৌঁছাতে অর্ক স্বপ্ন দেখে ফেলল ভবিষ্যতে সে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হয়েছে। সকালে ক্লাস নেয়ার পর সে আর চৈতালি ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে যায়। সেখানে আজ অর্ককে বিশেষ অতিথি করে আনা হয়েছে মায়াকোভস্কির আত্মহত্যার উপর কবিতা পাঠ করার জন্য।
বাড়ি ফিরে জামাকাপড় ছেড়ে গিটারটা নিয়ে বসল অর্ক। একটু বাদেই দরজায় ধাক্কা। অর্কর রুমমেট সুমন। নাহ, সুমনকে এখন কিছু বলার দরকার নেই। সুমন বলল -- "বস, দুটাকা খুচরো দিবি, সিগারেট কিনতে যাব।"
গিটার ছেড়ে জিনসের পকেটে হাত দিয়ে অর্ক বুঝতে পারল তার মানিব্যাগটা নেই। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কিছু পেলনা। একটা সন্দেহ হতেই চৈতালির দেওয়া নম্বরটায় ফোন করল। ফোনের কলার আই দিতে দেখাল এটি আইডাহো রাজ্যের ফোন নম্বর। কিন্তু, মিলওয়াকি তো উইস্কন্সিনে, তাই না? এবার উল্টোদিকে একজনের গলা শোনা গেল
"হ্যালো, বয়সি পুলিশ স্টেশন।"
এবার ট্রেন এসে যায়। ট্রেন ফাঁকা। অর্ক জানালার ধারে বসতে পারে। ব্যাগ খুলে কমলকুমার মজুমদারের বই বার করে পড়ার জন্য। তার পাশে এক মহিলা এসে বসেন। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখা খারাপ, তাই পড়তে পড়তে আড়চোখে দেখে অর্ক। ভারতীয়। অথবা বাংলাদেশীও হতে পারে। নিউ ইয়র্কে এখন প্রচুর বাংলাদেশী। সত্যি কথা বলতে কি, পশ্চিমবংগের বাইরে ভারতবর্ষের অন্য কোন জায়গার চেয়ে নিউ ইয়র্কেই অর্ক বেশি বাঙালি পায়। এভিনিউ এইচ পেরোতেই হাল্কা গলার আওয়াজ পাওয়া গেল -- "আপনি কি বাঙালি?"
"হ্যাঁ, অর্ক সেনগুপ্ত। আপনি?"
"আমি চৈতালি রায়।"
একটু অদ্ভুত গলার স্বর মহিলার।
"আপনি কলকাতার কোথায় থাকেন? আমি পাটুলি।"
"আমি কলকাতার না। আমি মিলওয়াকিতে বড় হয়েছি। আমার বাবা মা এখানেই থাকেন।"
ওহ প্রবাসী বাঙালি! তাই এরকমভাবে বাংলা বলছে। শুনতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল।
"আপনি এখানে বড় হয়েছেন? ভাবাই যায়না। আপনার বাংলা ভীষণ পরিষ্কার।"
"থ্যাংকস। আমার পেরেন্টসরা ছোটবেলা থেকে আমার সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলতেন।"
"ওহ, তা আপনি বুঝলেন কি করে আমি বাঙালি?"
"আপনার হাতের বই দেখে।"
"আপনি বাংলা পড়তে পারেন?"
"হ্যাঁ, পারি তো। আমি ফেলুদা, টেনিদা, মিতিনমাসী পড়েছি।"
"আচ্ছা। কমলকুমার পড়েছেন?"
"না। আমার বাবা বলতেন উনি ছোটবেলায় স্বপনকুমার বলে একজনের বই পড়তেন। এটা কি তিনি?"
"না না, স্বপনকুমার খাজা, আই মিন, পাল্প লেখক। কমলকুমার আলাদা। মনে হবে ফরাসী সাহিত্য পড়ছেন।"
"ওহ, আমি ফরাসী সাহিত্য পড়িনা।"
"তা আপনি যাচ্ছেন কোথায়?"
"আমি, জার্সি সিটি। ওখানেই থাকি। আপনি?"
এক মুহুর্ত ভেবে নিল অর্ক। ব্রুকলিনের ঢপটা দেওয়া উচিত হবেনা। জার্সি সিটিতেই তাকে যখন, ট্রেনে দেখা হবেই।
"আমিও ওখানেই। তাহলে ভালোই হল, একসাথে যাওয়া যাবে। আপনি এখানে কি পড়ছেন না চাকরি করছেন?"
"আমি ব্রুকলিনে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকায় চাকরি করি। আপনি?"
"আমি ব্রুকলিন কলেজে পড়াই। আর কিউনিতে পি এইচ ডি করছি।"
"ওয়াও। কোন বিষয় আপনার?"
"আমার ইকোনমিক্স।"
"নো ওয়ে, আমার আন্ডারগ্র্যাড ইকোনমিক্স ছিল।"
"তাই? কোন কলেজ?"
"মিলোয়াকি কমিউনিটি কলেজ।"
"আচ্ছা। আপনি কতদিন আছেন নিউ ইয়র্কে?"
"আমি তো জার্সি সিটিতে থাকি। আমি এই তিন মাস হল এসেছি। আপনি?"
"আমার তিন বছর হল। তা আপনি উইকেন্ডে নিউ ইয়র্কে আসেন নিশ্চয়?"
"নাহ সারা সপ্তাহ ট্র্যাভেল করে ক্লান্ত থাকি। তখন শুধু বাড়ি বসে নেটফ্লিক্স। আপনি?"
"আমি আসি মাঝে মধ্যে। আপনিও তার মানে সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন?"
"হ্যাঁ ভীষণ। আপনারও?"
"হ্যাঁ। আপনার প্রিয় নায়ক কে?"
"টম ক্রুজ। আপনার?"
"ম্যাক্স ভন সিডো।"
"সেটি কে? নাম শুনিনি। কোন সিনেমা বলুন?"
"সেভেন্থ সিল।"
"না দেখিনি। কার সিনেমা?"
"বার্গম্যান। দেখেননি?"
"আমি ক্যাসাব্লাঙ্কা দেখেছি। আচ্ছা, এটলান্টিক এভিনিউ এসে গেছে। চলুন নামা যাক।"
"না না, পরেরটায় নামব। ডি ক্যাব। ওখানে পাশের প্ল্যাটফর্মেই আর আসবে। সোজা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।"
"আচ্ছা।"
সিনেমায় মিল পাওয়া না গেলেও মিল পাওয়া গেল গানে। চৈতালি গান শুনতে ভালোবাসে। অর্ক বিটেলসের বেশিরভাগ গান বাজাতে জানে শুনে খুব উৎসাহিত হল। বাকি রাস্তাটা অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে পাথ ট্রেনে চেপে জার্নাল স্কোয়ার স্টেশন অবধি বিটলস, ডিলান, সিনাত্রা, রোলিং স্টোন্স সঙ্গ দিল। গানের মাঝে আপনি থেকে তুমিতে নামতে খুব একটা অসুবিধা হলনা।
জার্নাল স্কোয়ারে নেমে চৈতালি বলল ওর বাড়ি ডানদিকে। অর্ক বামদিকে থাকে। তাই এবার আলাদা হতেই হবে। অর্ক এবার সাহস করে বলল -- "চৈতালি, তোমার সঙ্গে গল্প করে খুব ভালো লাগল। যদি কিছু মনে না কর, তোমার নম্বরটা পেতে পারি?"
"নিশ্চয়। (২০৮)...। তোমারটা দাও।"
নম্বর নেয়ার পর দুজন চলে যাচ্ছিল। চৈতালি এগিয়ে এসে অর্ককে আলিঙ্গন করল। এদেশে এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। তাই অর্কর প্রথমে কিছু মনে হয়নি। তারপর বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে মনে হতে লাগল, "মেয়েটি নিজে থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরল। নিশ্চয় আমাকে ভালো লেগেছে। উফ, আর লন্ডন নিয়ে মাথা ঘামাবো না। এই মেয়েটি আমার জন্য পারফেক্ট।"
বাড়ির দরজা অবধি পৌঁছাতে পৌঁছাতে অর্ক স্বপ্ন দেখে ফেলল ভবিষ্যতে সে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হয়েছে। সকালে ক্লাস নেয়ার পর সে আর চৈতালি ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে যায়। সেখানে আজ অর্ককে বিশেষ অতিথি করে আনা হয়েছে মায়াকোভস্কির আত্মহত্যার উপর কবিতা পাঠ করার জন্য।
বাড়ি ফিরে জামাকাপড় ছেড়ে গিটারটা নিয়ে বসল অর্ক। একটু বাদেই দরজায় ধাক্কা। অর্কর রুমমেট সুমন। নাহ, সুমনকে এখন কিছু বলার দরকার নেই। সুমন বলল -- "বস, দুটাকা খুচরো দিবি, সিগারেট কিনতে যাব।"
গিটার ছেড়ে জিনসের পকেটে হাত দিয়ে অর্ক বুঝতে পারল তার মানিব্যাগটা নেই। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কিছু পেলনা। একটা সন্দেহ হতেই চৈতালির দেওয়া নম্বরটায় ফোন করল। ফোনের কলার আই দিতে দেখাল এটি আইডাহো রাজ্যের ফোন নম্বর। কিন্তু, মিলওয়াকি তো উইস্কন্সিনে, তাই না? এবার উল্টোদিকে একজনের গলা শোনা গেল
"হ্যালো, বয়সি পুলিশ স্টেশন।"
No comments:
Post a Comment