টিভিটা বন্ধ করে দিলেন রত্নাবলী। কতক্ষণ আর ভালো লাগে? বারান্দায় এসে বসলেন চেয়ারে। হাতে বই। কাজলের আলমারি থেকে সত্যজিৎ রায়ের ছোটগল্পের বইটি পড়বেন পরিকল্পনা ছিল। বাইরে বেশ মিঠে রোদ এসেছে। এখন নভেম্বর মাস। কলকাতায় হয়ত সবে শীত শুরু হবে হবে করছে। এই আটলান্টা শহরে কিন্তু এখনই বেশ ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে। কাজল অবশ্য বলে এটা কিছুই না। ডিসেম্বরে নাকি আরও ঠাণ্ডা পড়বে। আসলে এই প্রথম মার্কিন দেশে শীত কাটাচ্ছেন রত্নাবলী। গতবছরও এই সময় তাঁদের কসবার বাড়িতে হয়ত বড়ি দিচ্ছিলেন। কাজল এবার থাকতে দিল না কলকাতায়।
"কি করবে একা একা ওই ঠাণ্ডার মধ্যে? তার মধ্যে আমাদেরও এবার আর শীতে যাওয়া সম্ভব না। এখানে এস।"
রত্নাবলী অবশ্য জানেন কেন কাজল তাঁকে এখানে এনেছে। তাঁর বোনকে কাজল বলেছে -- শীতকালে নাকি ডিপ্রেশনে বাড়ে। আর এ বছর তো তিনি একা। "বাবা নেই, মা একা একা বাড়িতে কি করবে? আমাদের কাছে থাকুক।"
পুজোর পর পরই রত্নাবলী চলে আসেন ছেলের কাছে। এর আগেও যে আসেননি তা নয়। তবে একা এই প্রথম। এয়ারপোর্টে কাজল আর লতা দুজনেই গিয়েছিল। মজার ব্যাপার, যেদিন তিনি এলেন, তার পরেরদিনই এখানে পুজো। আসলে এখানে নাকি উইকেন্ড দেখে দেখে পুজো হয়। সেই পুজোতেও গিয়েছিলেন রত্নাবলী। বিকেলের অনুষ্ঠানে তাঁকে গান গাইতে অনুরোধ করতে থাকল কাজলের বন্ধবান্ধবরা। কাজল ভয় পেয়েছিল, মায়ের মন খারাপ, হয়ত গাইবেন না। তাই বন্ধুদের বোঝানোর চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু রত্নাবলী নিজেই গাইতে রাজি হলেন। আসলে তিনি যে গান ছাড়া থাকতে পারেন না।
"লতা, তোর নাম লতা হলে কি হবে, তোর শাশুড়ি তো পুরো লতাকণ্ঠী রে?"
শুনে এই বয়সেও লজ্জা পেয়েছিলেন রত্নাবলী।
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় তাঁর। এই হয়। একটা কথা ভাবতে ভাবতে আর একটায় চলে যান। বোলপুরে বড় হওয়া। পড়াশুনো পুরোটাই শান্তিনিকেতনে। ওখানেই গান শেখা। প্রতিবছর তিনি গাইবেন এটা যেন বাঁধাধরা ছিল। হেমন্তর সঙ্গে আলাপ ঐ পৌষমেলায়। বিয়ের পর গানের চর্চা কিন্তু থামেনই। পাড়ার ফাংশানে নিয়মিত গাইতেন তিনি। এখনকার টিভিতে গানের রিয়েলিটি শো দেখতে দেখতে ভাবেন, তাঁদের সময় যদি এর'ম থাকত, তাহলে হয়ত তিনি আরও নাম করে ফেলতেন। পরক্ষণেই ভাবেন, কি দরকার, এই বেশ ভালো। নির্ঝঞ্ঝাট জীবন।
গান জীবন থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছিল কাজল আসার পর। যে ছোট্ট কাজল তাঁর কোলে শুয়ে কাঁদত, সে কেমন চোখের সামনে বড় হয়ে উঠল, রত্নাবলী ভাল করে বোঝার সময় পেলেন না। কখন যেন কাজলের ভালো লাগাটা "খোকা ঘুমাল, পাড়া জুড়ালো" থেকে কার্টুন হয়ে, সৌরভ-সচিনের মধ্যে দিয়ে ইন্টারনেট আর মোবাইলে পৌঁছে গেল। একদিন কাজল যখন এসে বলল, "স্ট্যানফোর্ডে পি এইচ ডি র জন্য স্কলারশিপ পেয়েছি, পড়তে যাব", রত্নাবলীর মনে হল সত্যি তো, অনেকদিন কেটে গেছে।
ছেলে বাইরে পড়তে গেলে সাধারণত ময়েরা ভীষণ বিষণ্ণতায় চলে যান। হেমন্ত সেটা আগে থেকেই অনুমান করে রত্নাবলীর জন্য একটা নতুন হারমোনিয়াম কিনে দিলেন। রত্নাবলী বারণ করেছিলেন "কী দরকার, এমনি ওকে আমেরিকা পাঠাতে এত খরচ?"
আবার গানে ফিরে ফেলেন রত্নাবলী। আবার শুরু হল পাড়ার ফাংশান। গত বছর চলে যাওয়ার দুদিন আগেও হেমন্তর অনুরোধে তাঁকে তিনি "এই করেছ ভালো" শুনিয়েছিলেন।
এখানে বড় একা লাগে রত্নাবলীর। কাজল-লতা মায়ের কষ্ট হবে বলে নিজেরাই সব রান্না বান্না করে, বাসনও নিজেরাই ধোয়। মাকে কিছুই করতে দেয় না। তাতেও যেন তাঁর আরাম নেই। কোন কাজ নেই, অখণ্ড অবসর, কিন্তু একটা কথা বলার লোক নেই। আগে যতবার এসেছেন, হেমন্ত ছিল সঙ্গে। কর্তা গিন্নি আর কিছু না হোক, স্রেফ ঝগড়া করেও সময় কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু এখন, কার সঙ্গে ঝগড়া করবেন? কাজলের টিভিতে সব বাঙলা চ্যানেল আসে, কিন্তু কতক্ষণ আর টিভি দেখা যায় বলুন?
সেই সকাল ৯টার সময় বেড়িয়ে যায় কাজল আর লতা। ফিরতে ফিরতে ৭টা বা ৮টা। এতক্ষণ সময় একা একা দিন কাটে তাঁর। শুয়ে শুয়ে বা বারান্দায় বসে অনেক সময় তিনি পুরনো কথা ভাবেন। বারান্দায় বসে থাকলেও যে লোক দেখা যায় তা নয়। এ তো আর কলকাতা না, যে সামনে দিয়ে "আলু আছে, পটল আছে" বা "বাসন চাই গো বাসন" ডাক শুনতে পারবেন। মাঝে মাঝে শুধু গাড়ির আওয়াজ। বুঝে নিতে হয় তাঁর মধ্যেই মানুষ আছে। উল্টো দিকের বাড়িতে এক বয়স্ক ব্যক্তি থাকেন। শ্বেতাঙ্গ। মাঝে মাঝে তাঁকে দেখে হাত নাড়েন। রত্নাবলীও হালকা হেসে হাত নাড়েন। ব্যস ওইটুকুই। পাশের বাড়িতে একটি ভারতীয় ছেলে থাকে, কোন প্রদেশের অবশ্য তিনি জানেন না। আলাপ নেই কাজলের সঙ্গে সেভাবে। জিগ্যেসও করা হয়নি কাজলকে।
"হ্যালো।"
ডাক শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন রত্নাবলী। এতক্ষণ মানিকবাবুর "সহযাত্রী" গল্পটি পড়ছিলেন। ডাক এসেছে পাশের ওই ভারতীয় ছেলেটির বাড়ি থেকে। যিনি ডাক দিয়েছেন তিনি রত্নাবলীর বয়সি, পরনে হালকা সবুজ রঙের শাড়ি, তবে চুল পুরো সাদা।
"হ্যালো।"
"আপনি বাঙালী? হাতে বাংলা বই দেখছি?"
"হ্যাঁ, আপনিও?"
"হ্যাঁ। বাঁচা গেল, এখানে এসে যে আর একজন বাঙালীর সঙ্গে আলাপ হবে, ভাবতেই পারিনি। দুদণ্ড কথা বলার তো কাউকে পাওয়া যায় না।"
স্মিত হাসলেন রত্নাবলী।
"নমস্কার দিদি, আমার নাম ছন্দা সেনগুপ্ত। আপনি?"
"আমি রত্নাবলী ভট্টাচার্য।"
"কলকাতায় বাড়ি আপনার?"
"শ্বশুরবাড়ি কলকাতায়। বাপের বাড়ি বোলপুর। আপনার?"
"আমারও বাপের বাড়ি বোলপুরে। বোলপুরের কোথায়?"
"গুরুপল্লী।"
"আপনি কি শান্তিনিকেতনে পড়তেন? প্রতিবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান করতেন?"
"হ্যাঁ, আপনি জানেন?"
"আপনার বিয়ের আগের নাম রত্নাবলী বসু তো?"
"হ্যাঁ, আপনি চেনেন নাকি আমায়?"
"আরে মিঠিদি চিনতে পারছ না, আমি পুতুল গো। তোমাদের পাশের বাড়িতে থাকতাম।"
"পুতুল, আচ্ছা, তুমি তো বিজনকাকুর মেয়ে?"
"একদম। তাই ভাবি, গুরুপল্লী তে থাকত, আমার বয়সি, আর আমি চিনতে পারছি না; এটা হতে পারে। তবে তুমি তো আমাকে তুই করে বলতে, আবার তুমি কেন?"
মানিকবাবুর বইটা চেয়ারে ফেলতে ফেলতে রত্নাবলী বুঝলেন তাঁর দিনগুলো আর একাকিত্বে ভরা থাকবেনা।
"কি করবে একা একা ওই ঠাণ্ডার মধ্যে? তার মধ্যে আমাদেরও এবার আর শীতে যাওয়া সম্ভব না। এখানে এস।"
রত্নাবলী অবশ্য জানেন কেন কাজল তাঁকে এখানে এনেছে। তাঁর বোনকে কাজল বলেছে -- শীতকালে নাকি ডিপ্রেশনে বাড়ে। আর এ বছর তো তিনি একা। "বাবা নেই, মা একা একা বাড়িতে কি করবে? আমাদের কাছে থাকুক।"
পুজোর পর পরই রত্নাবলী চলে আসেন ছেলের কাছে। এর আগেও যে আসেননি তা নয়। তবে একা এই প্রথম। এয়ারপোর্টে কাজল আর লতা দুজনেই গিয়েছিল। মজার ব্যাপার, যেদিন তিনি এলেন, তার পরেরদিনই এখানে পুজো। আসলে এখানে নাকি উইকেন্ড দেখে দেখে পুজো হয়। সেই পুজোতেও গিয়েছিলেন রত্নাবলী। বিকেলের অনুষ্ঠানে তাঁকে গান গাইতে অনুরোধ করতে থাকল কাজলের বন্ধবান্ধবরা। কাজল ভয় পেয়েছিল, মায়ের মন খারাপ, হয়ত গাইবেন না। তাই বন্ধুদের বোঝানোর চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু রত্নাবলী নিজেই গাইতে রাজি হলেন। আসলে তিনি যে গান ছাড়া থাকতে পারেন না।
"লতা, তোর নাম লতা হলে কি হবে, তোর শাশুড়ি তো পুরো লতাকণ্ঠী রে?"
শুনে এই বয়সেও লজ্জা পেয়েছিলেন রত্নাবলী।
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় তাঁর। এই হয়। একটা কথা ভাবতে ভাবতে আর একটায় চলে যান। বোলপুরে বড় হওয়া। পড়াশুনো পুরোটাই শান্তিনিকেতনে। ওখানেই গান শেখা। প্রতিবছর তিনি গাইবেন এটা যেন বাঁধাধরা ছিল। হেমন্তর সঙ্গে আলাপ ঐ পৌষমেলায়। বিয়ের পর গানের চর্চা কিন্তু থামেনই। পাড়ার ফাংশানে নিয়মিত গাইতেন তিনি। এখনকার টিভিতে গানের রিয়েলিটি শো দেখতে দেখতে ভাবেন, তাঁদের সময় যদি এর'ম থাকত, তাহলে হয়ত তিনি আরও নাম করে ফেলতেন। পরক্ষণেই ভাবেন, কি দরকার, এই বেশ ভালো। নির্ঝঞ্ঝাট জীবন।
গান জীবন থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছিল কাজল আসার পর। যে ছোট্ট কাজল তাঁর কোলে শুয়ে কাঁদত, সে কেমন চোখের সামনে বড় হয়ে উঠল, রত্নাবলী ভাল করে বোঝার সময় পেলেন না। কখন যেন কাজলের ভালো লাগাটা "খোকা ঘুমাল, পাড়া জুড়ালো" থেকে কার্টুন হয়ে, সৌরভ-সচিনের মধ্যে দিয়ে ইন্টারনেট আর মোবাইলে পৌঁছে গেল। একদিন কাজল যখন এসে বলল, "স্ট্যানফোর্ডে পি এইচ ডি র জন্য স্কলারশিপ পেয়েছি, পড়তে যাব", রত্নাবলীর মনে হল সত্যি তো, অনেকদিন কেটে গেছে।
ছেলে বাইরে পড়তে গেলে সাধারণত ময়েরা ভীষণ বিষণ্ণতায় চলে যান। হেমন্ত সেটা আগে থেকেই অনুমান করে রত্নাবলীর জন্য একটা নতুন হারমোনিয়াম কিনে দিলেন। রত্নাবলী বারণ করেছিলেন "কী দরকার, এমনি ওকে আমেরিকা পাঠাতে এত খরচ?"
আবার গানে ফিরে ফেলেন রত্নাবলী। আবার শুরু হল পাড়ার ফাংশান। গত বছর চলে যাওয়ার দুদিন আগেও হেমন্তর অনুরোধে তাঁকে তিনি "এই করেছ ভালো" শুনিয়েছিলেন।
এখানে বড় একা লাগে রত্নাবলীর। কাজল-লতা মায়ের কষ্ট হবে বলে নিজেরাই সব রান্না বান্না করে, বাসনও নিজেরাই ধোয়। মাকে কিছুই করতে দেয় না। তাতেও যেন তাঁর আরাম নেই। কোন কাজ নেই, অখণ্ড অবসর, কিন্তু একটা কথা বলার লোক নেই। আগে যতবার এসেছেন, হেমন্ত ছিল সঙ্গে। কর্তা গিন্নি আর কিছু না হোক, স্রেফ ঝগড়া করেও সময় কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু এখন, কার সঙ্গে ঝগড়া করবেন? কাজলের টিভিতে সব বাঙলা চ্যানেল আসে, কিন্তু কতক্ষণ আর টিভি দেখা যায় বলুন?
সেই সকাল ৯টার সময় বেড়িয়ে যায় কাজল আর লতা। ফিরতে ফিরতে ৭টা বা ৮টা। এতক্ষণ সময় একা একা দিন কাটে তাঁর। শুয়ে শুয়ে বা বারান্দায় বসে অনেক সময় তিনি পুরনো কথা ভাবেন। বারান্দায় বসে থাকলেও যে লোক দেখা যায় তা নয়। এ তো আর কলকাতা না, যে সামনে দিয়ে "আলু আছে, পটল আছে" বা "বাসন চাই গো বাসন" ডাক শুনতে পারবেন। মাঝে মাঝে শুধু গাড়ির আওয়াজ। বুঝে নিতে হয় তাঁর মধ্যেই মানুষ আছে। উল্টো দিকের বাড়িতে এক বয়স্ক ব্যক্তি থাকেন। শ্বেতাঙ্গ। মাঝে মাঝে তাঁকে দেখে হাত নাড়েন। রত্নাবলীও হালকা হেসে হাত নাড়েন। ব্যস ওইটুকুই। পাশের বাড়িতে একটি ভারতীয় ছেলে থাকে, কোন প্রদেশের অবশ্য তিনি জানেন না। আলাপ নেই কাজলের সঙ্গে সেভাবে। জিগ্যেসও করা হয়নি কাজলকে।
"হ্যালো।"
ডাক শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন রত্নাবলী। এতক্ষণ মানিকবাবুর "সহযাত্রী" গল্পটি পড়ছিলেন। ডাক এসেছে পাশের ওই ভারতীয় ছেলেটির বাড়ি থেকে। যিনি ডাক দিয়েছেন তিনি রত্নাবলীর বয়সি, পরনে হালকা সবুজ রঙের শাড়ি, তবে চুল পুরো সাদা।
"হ্যালো।"
"আপনি বাঙালী? হাতে বাংলা বই দেখছি?"
"হ্যাঁ, আপনিও?"
"হ্যাঁ। বাঁচা গেল, এখানে এসে যে আর একজন বাঙালীর সঙ্গে আলাপ হবে, ভাবতেই পারিনি। দুদণ্ড কথা বলার তো কাউকে পাওয়া যায় না।"
স্মিত হাসলেন রত্নাবলী।
"নমস্কার দিদি, আমার নাম ছন্দা সেনগুপ্ত। আপনি?"
"আমি রত্নাবলী ভট্টাচার্য।"
"কলকাতায় বাড়ি আপনার?"
"শ্বশুরবাড়ি কলকাতায়। বাপের বাড়ি বোলপুর। আপনার?"
"আমারও বাপের বাড়ি বোলপুরে। বোলপুরের কোথায়?"
"গুরুপল্লী।"
"আপনি কি শান্তিনিকেতনে পড়তেন? প্রতিবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান করতেন?"
"হ্যাঁ, আপনি জানেন?"
"আপনার বিয়ের আগের নাম রত্নাবলী বসু তো?"
"হ্যাঁ, আপনি চেনেন নাকি আমায়?"
"আরে মিঠিদি চিনতে পারছ না, আমি পুতুল গো। তোমাদের পাশের বাড়িতে থাকতাম।"
"পুতুল, আচ্ছা, তুমি তো বিজনকাকুর মেয়ে?"
"একদম। তাই ভাবি, গুরুপল্লী তে থাকত, আমার বয়সি, আর আমি চিনতে পারছি না; এটা হতে পারে। তবে তুমি তো আমাকে তুই করে বলতে, আবার তুমি কেন?"
মানিকবাবুর বইটা চেয়ারে ফেলতে ফেলতে রত্নাবলী বুঝলেন তাঁর দিনগুলো আর একাকিত্বে ভরা থাকবেনা।
No comments:
Post a Comment